ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এর আগে শনিবার (১ নভেম্বর) রাতে নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের গনি শাহ মাজার সংলগ্ন একটি হোটেলে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম শিপন (৩০)। তিনি স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘মনেক ডাকাত’-এর ছেলে।
আহতরা হলেন, আলমনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন ও চরলাপাং গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে নুর আলম বর্তমানে ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নুরজাহানপুর গ্রামের মনেক মিয়ার ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত বাহিনীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। শনিবার রাতে শিপন ওই এলাকায় এক হোটেলে খাওয়াদাওয়া করতে গেলে ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে রিফাত ও তার সহযোগীরা সেখানে গুলি চালায়। এতে শিপনসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়রা গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়। সেখানে রবিবার সকালে শিপনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির মালামাল ভাগাভাগি ও এলাকা দখল নিয়ে শিপন ও রিফাত গ্রুপের মধ্যে বিরোধ থেকেই এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
চলমান সময়/২নভেম্বর/পিএস



