২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে পালালেও সেখানে বসেই টেলিগ্রাম গ্রুপে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন শেখ হাসিনা। অভিযোগ উঠেছে তার সঙ্গে এসব বৈঠকে অংশ নিয়ে কথা বলার সুযোগ করে দিতে নেতাদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ-১৮ এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ওই নিউজের সূত্র ধরে বাংলাদেশি গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডও গতকাল ২৯ জুলাই একটি প্রতিবেদন করেছে। তবে নিউজে সুনির্দিষ্ট কোনো নেতার বক্তব্য তুলে ধরতে না পারায় নিউজটির গ্রহণ যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এদিকে প্রকাশিত নিউজটি ফেক (ভুয়া) বলে দাবি করেছেন ভারতে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, দলটি বর্তমানে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। তার উপর শেখ হাসিনার সঙ্গে টেলিগ্রামভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দিতে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনায় নেতাকর্মীরা বিপাকে পড়েছেন বলে দলটির নেতারা তাদেরকে জানিয়েছে। তবে প্রতিবেদনটিতে এ দাবি করা সুনির্দিষ্ট কোনো নেতার নাম উল্লেখ নেই। ফলে নিউজের বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
নিউজ-১৮ প্রতিবেদনটিতে শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে বলেছে, শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন যে, ‘নেতৃত্বে থাকতে হলে রাস্তায় নামতে হবে, না হলে পদত্যাগ করতে হবে।’ তিনি নতুন নেতৃত্ব ও নতুন চিন্তার মাধ্যমে মাঠে সক্রিয় হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। শুধু কিবোর্ডে সীমাবদ্ধ থাকা দলীয় কর্মীদের তিনি আর চান না।
নিউজ১৮ আরও জানিয়েছে, দলের সব টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীকে এখন ভিপিএন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে, কারণ তাদের তথ্য ব্ল্যাক মার্কেট ও ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
দলের অপর এক নেতার বরাত দিয়ে নিউজ-১৮ জানায়. ‘এক বছর হয়ে গেল, আওয়ামী লীগ এখন জনগণের পক্ষে লড়তে চায়। তাই জেলা ও মহানগর পর্যায়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হবে। এতে বিভাগীয় সংগঠক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা একসঙ্গে নেতৃত্ব দেবেন।’
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ -১৮ ও বাংলাদেশি গণমাধ্যম বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে প্রকাশিত নিউজের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের এ প্রতিবেদকের কাছে নিউজটি ফেক নিউজ দাবি করে বলেন, এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ প্রেস রিলিজ দিয়েছে। এর পর তিনি আর কোনো কথা বলেননি।
চলমান সময়/৩০জুলাই/পিএস



 
                                    