আজ হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস। ১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি দিনাজপুরের হিলিতে ঘটে দেশের সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। এ দূর্ঘটনায় বেসরকারিভাবে নিহতের সংখ্যা শতাধিক হলেও সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় মাত্র ২৭ জন ট্রেনযাত্রীর কথা। আহত হয় ৩ শতাধিক।
সেই দূর্ঘটনায় আহতদের অনেকে এখনো পঙ্গত্ববরণ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরে কেটে গেছে ২৬ বছর। আজ পর্যন্ত আহত ও নিহতদের পরিবারগুলো পায়নি ক্ষতি পূরণের টাকা।
১৯৯৫ সালের ১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) রাত সোয়া ৯টায় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
এ দূর্ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠিত হলেও অদ্যাবধি আলোর মুখ দেখেনি সেই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট।
সীমান্তবর্তী শহর হাকিমপুর উপজেলায় প্রতি বছর দিবসটি “হিলি ট্রেন ট্র্যাজেডি দিবস” হিসেবে পালন করে আসছে।
জানা যায়, হিলি রেল ক্রসিংয়ের উদ্দেশ্যে স্টেশনের ১ নম্বর লাইনে দাঁড়িয়েছিল গোয়ালন্দ থেকে পার্বতীপুরগামী ৫১১ নম্বর লোকাল ট্রেন। সে সময় দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার ও পয়েন্টসম্যানের অবহেলার কারণে একই লাইনে সৈয়দপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭৪৮ নম্বর আন্তঃনগর সীমান্ত এক্সপ্রেস নামে অপর একটি ট্রেন ঢুকে পড়লে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারা যান শতাধিক যাত্রী। মুহূর্তেই দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংর্ঘষে বিকট শব্দ ও শত শত যাত্রীদের চিৎকারে ভারী হয়ে উঠে হিলির আকাশ-বাতাস। দুমড়ে মুচড়ে যায় লোকাল ট্রেনের ২টি ইঞ্জিনসহ মোট ৪টি বগী।
বিডিআরসহ অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন দূর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের উদ্ধারে দ্রুত এগিয়ে আসে। হিলির সাধারণ মানুষ তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবতার নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
সম্পাদনা: প্রশান্ত সুভাষ চন্দ, চীফ রিপোর্টার।
Leave a Reply