টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে রাতে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ইয়ার মাহমুদ ওরফে মামুন (৪৫) নামে এক লম্পটের বিরুদ্ধে। সে উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের গাংগাইর গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে।
উপজেলার কামালপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর ওই ভুক্তভোগী গৃহবধূ রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে ওই লম্পট মামুনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে নেয়ার জন্য ওই গৃহবধূ ও তার পরিবারের লোকজনকে নানা ধরণের হুঁমকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে মামুনের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ এখনো মামলার অভিযুক্ত ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে গৃহবধূসহ তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানা গেছে।
ধর্ষণের স্বীকার ওই গৃহবধূ জানান- ‘লম্পট মামুন দীর্ঘদিন ধরে আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। গত ২ ডিসেম্বর (বুধবার) রাতে বাড়িতে কেউ না থাকায় জোরপূর্বক সে আমাকে তুলে নিয়ে তার ফার্মের থাকার ঘরে একাধিকবার ধর্ষণ ও নির্যাতন করেন। শুধু তাই নয়, গোপনে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়া ও প্রাণে মেরে ফেলে মরদেহ গুমের হুঁমকি দেয়।
অসহায় গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ‘ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) বিষয়টি জানাজানি হলে দফায় দফায় গ্রাম্য সালিশে কিছু টাকার বিনিময়ে মীমাংসার জন্য বলেন গ্রাম্য শালিসদাররা। ওই গৃহবধু এতে রাজি না হলে ক্ষিপ্ত হয় মামুনের লোকজন। বাধ্য হয়ে সুষ্ঠ বিচারের আশায় একমাস পর আইনের আশ্রয় নেন ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে ইয়ার মাহমুদ ওরফে মামুনের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। কিন্তু মামুনের স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওয়াজেদ আলী জানান, ‘ধর্ষণের বিষয়টি মিমাংসার জন্য দু’পক্ষকে ডেকেছিলাম। কিন্তু মামুনের পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় সালিশ হয়নি। পরে কিছু জানিনা।
সম্পাদনা: প্রশান্ত সুভাষ চন্দ, চীফ রিপোর্টার।
Leave a Reply