নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অপরাজনীতির বিরুদ্ধে উপজেলা আ’লীগের চলমান আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। যার নেতৃত্বের অগ্রভাগে রয়েছে তরুন তিন তুর্কী উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব রশিদ মঞ্জু ও স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সদস্য জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ফখরুল ইসলাম রাহাত। যারা ইতোমধ্যে আওয়ামী পরিবারের কাছে ত্রিরত্ন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
এই ত্রিরত্ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদাক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সম্মান ও ইমেজ রক্ষায় বদ্ধ পরিকর। তারা এ দুই নেতার জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জে চলমান আন্দোলনের অগ্রদূত এই ত্রিরত্ন বলেন, আওয়ামী লীগ হলো জনগণের দল। কোন ব্যক্তি বিশেষের দল নয়। বঙ্গবন্ধু জনগণের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। তার সুযোগ্য কন্যা পিতার আদর্শে আদর্শিত হয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের শীর্ষে নিয়ে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকান্ডে আমাদের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। সারাদেশে দলকে একটি সুসংগঠিত দলে পরিণত করেছেন। কিন্তু কোম্পানীগঞ্জে অপরাজনীতির হোতা আ কা মির্জা তার ব্যক্তিগত স্বার্থে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত রয়েছে। সে আমাদের প্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনা করেছে। শেখ হাসিনা ভোটের অধিকার দিতে পারেনি বলে বদনাম করেছে। ওবায়দুল কাদেরকে চরিত্রহীন বলেছে। ওবায়দুল কাদের অপরাজনীতির কাছে মাথা নত করেছেন বলে বিরূপ মন্তব্য করেছে।
আমরা আপাদমস্তক আওয়ামী লীগকর্মী হিসেবে আ কা মির্জার দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী বক্তব্য ও কর্মকান্ড কখনো মেনে নেবোনা। আমরা আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরের সম্মান ও ইমেজ রক্ষায় নিজেদের উৎসর্গ করলাম। শরীরের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে হলেও কোম্পানীগঞ্জ থেকে অপরাজনীতি উৎখাত করবো।
সম্মানের সু-উচ্চ শিখরে রাখবো আমাদের প্রিয় নেত্রী ও প্রিয় নেতাকে। কোন অপশক্তির কারনে তাঁদের সম্মানহানি হতে দেবোনা।
উল্লেখ্য চলতি বছর জানুয়ারী মাসে বসুরহাট পৌর নির্বাচনের পূর্ব থেকে আ কা মির্জা তার সত্য বচনের নামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে জেলা ও উপজেলার নেতাদের নামে মিথ্যাচার করে আসছেন। তার এ মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলেছে। আন্দোলনের এক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতৃবৃন্দ আ কা মির্জার সঙ্গ ছেড়ে দলের মূল ধারার সাথে একাত্মতা পোষণ করে। আ কা মির্জা হয়ে পড়ে নেতাকর্মীশূন্য। এমন পরিস্থিতিতে আ কা মির্জা হতাশাগ্রস্ত হয়ে দল থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের কোন পদ পদবীতে নেই।
সম্প্রতি গুঞ্জন উঠেছিল যে, মওদুদ আহমদের শূন্যস্থান পূরণ করতে আ কা মির্জা বিএনপিতে যোগদান করছে। সে গুঞ্জন এখনো কোম্পানীগঞ্জে বেশ আলোচিত। আ কা মির্জা দল থেকে পদত্যাগ করায় সে গুঞ্জন আরো জোরালো হয়ে সকলের সামনে উঠে আসে।
Leave a Reply