নোয়াখালী জেলা সমিতি, ঢাকা’র বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন ঘিরে সমিতির সদস্যদের মাঝে বইছে সরব আলোচনা, আর প্রত্যাশার ঢেউ। আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত নোয়াখালীবাসীর প্রিয় এ সংগঠনটির। এদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মতিঝিল টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।
ইতোমধ্যে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক আগ্রহ। বিশেষ করে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আসা প্রার্থীদের নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি, মেট্রো হোমস ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান মো. ফখরুল ইসলাম এবং সম্রাট গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ খান বেলাল। এর মধ্যে মো. ফখরুল ইসলামকে ঘিরে সমিতির সদস্যদের মধ্যে আলোচনা সবচেয়ে বেশি। ব্যবসায়ী ও সংগঠক হিসেবে সফল হওয়ার পাশাপাশি সামাজিক অঙ্গনেও সক্রিয় উপস্থিতি রাখা ফখরুল ইসলামকে অনেকেই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছেন।
অন্যদিকে এম এ খান বেলালও নিজের অবস্থান দৃঢ় করতে মাঠে নেমেছেন।
এদিকে একজন যোগ্য ও নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি দায়িত্বে আসুক সমিতির সাধারণ সদস্যরা এটি প্রত্যাশা করছেন। এক্ষেত্রে মো. ফখরুল ইসলামকেই উপযুক্ত মনে করছেন তারা। সাধারণ সদস্যদের মতে, ফখরুল ইসলাম সভাপতি নির্বাচিত হলে নোয়াখালীবাসীর ঐক্য আরও সুদৃঢ় হবে এবং সমিতির কার্যক্রম নতুন দিগন্তে পৌঁছাবে। ঝিমিয়ে পড়া বৃহৎ এ সংগঠনটি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে।
নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অবসরপ্রাপ্ত সচিব মো. কামরুজ্জামন চৌধুরী চলমান সময়কে বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের। এ লক্ষ্যে যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
ভোটার তালিকায় কিছু মৃত ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘সমিতির আজীবন সদস্যদেরকে তালিকা থেকে বাদ দিয়ে আমরা তাদেরকে অসম্মান করতে চাইনি। তবে তালিকায় মৃত ও আজীবন সদস্য যারা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন তাদেরকে চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। এছাড়া ভোটের দিন সকলকে আইডি কার্ড ও সমিতির পরিচয়পত্র সহ যাবতীয় ডকুমেন্ট নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। যাতে কোনো প্রকার অনিয়ম না হয়। আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবো।’
নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক প্রভাব আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমাদের উপর কোনো রাজনৈতিক প্রভাব নেই। আশা করি এটি শেষ পর্যন্তও থাকবে না।’
নির্বাচনের দিন সকল সাংবাদিকদেরকে নিয়ম মেনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আহ্বানও জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. কামরুজ্জামন চৌধুরী।
উল্লেখ্য, ১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ সংগঠনটির মোট ভোটার সংখ্যা ১৮১৫জন। ভোটারদের সরাসরি ভোট প্রদানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব নির্বাচিত হবে।
চলমান সময়/১ সেপ্টেম্বর/পিএস



