ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ফের মামলা দায়ের করা হয়েছে। দূর্নীতির মাধ্যমে তিনটি ঘটনায় ১১ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১৪৪টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামকে প্রধান করে তার ৯ সহযোগীকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির আইন কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন বাদি হয়ে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।
এদিকে নজরুল ইসলাম তার এক অনুসারিকে দিয়ে ফারইস্টের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ফারইস্ট কর্তৃপক্ষ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর ভূয়া বিল দেখিয়ে ১ কোটি ১৫ লাখ ৮১ হাজার, একই বছর ১০ ডিসেম্বর ভূয়া বিলের মাধ্যমে ৭৭ কোটি ৭৩ লাখ এবং ২০২১ সালের ২ মার্চ ভূয়া বিলের মাধ্যমে দুই কোটি ৪০ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ ১১ কোটি ২৯ লাখ ৯১ হাজার ১৪৪টাকা আত্মসাত করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ও সাবেক মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা হেমায়েত উল্যাসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ নম্বর আসামি হলেন ফারইস্ট ইসলামি লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির সাবেক কর্মকর্তা শাহিনুল ইসলাম আক্দ। তার আরেক ভাই শাহাদাত হোসেন আকন্দও চাকরি করতেন ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে। তারা দুজনই এখন নজরুল ইসলামের প্রতিষ্ঠান প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে চাকরি করেন।
ফারইস্ট কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, গত ৮ সেপ্টেম্বর নজরুল ইসলাম ষড়যন্ত্র করে এ দুইজন সহ তার ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে ফারইস্ট প্রধান কর্যালয়ে হামলা করিয়েছে। হামলার এ ঘটনায় ফারইস্টের পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর নজরুল ইসলাম ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে তার অনুসারি ও অর্থ আত্মসাত মামলার ৬নম্বর আসামি শাহিনুল ইসলাম আকন্দের ভাই শাহাদাত হোসেন আকন্দকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করিয়েছেন। যে মামলায় কোম্পানির চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য সহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের আসামি করা হয়েছে।
গত ৮ তারিখের হামলার প্রসঙ্গে শাহাদাত হোসেন আকন্দের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেনা বলে জানান।
চলমান সময়/১৬অক্টোবর/পিএস



